ঢাকা, বুধবার ০১, মে ২০২৪ ৫:৫০:৩৭ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গায় আজ ৪৩.৭ ডিগ্রি, ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লাশ ও কঙ্কাল চুরি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪,৫৩৫ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেশে ঢাকাসহ ২৭ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ

মা-মেয়েদের হত্যার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ১৫ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় এলাকায় বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

১৫ জুনের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, নিহতের স্বামী সেলিমের অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক থাকায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। এরই জের ধরে সেলিম গত ১৩ জুন (মঙ্গলবার) ঘুমের বড়ি পাত্রে থাকা দুধের সাথে মিশিয়ে দেয়। মা ও মেয়ে দুজনে সেই দুধ পান করার পর আস্তে আস্তে তারা দুজনই নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাদেরকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে দুজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

অন্যদিকে, নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় এলাকায় বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে ছুরিকাঘাতে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাতে বলা হয়, মাস ছয়েক আগে ওমানপ্রবাসী আলতাফের সাথে নিহত নুর নাহার বেগমের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৮ জুন আলতাফ দেশে আসলে তিনি ১৪ জুন নুর নাহারের বাসায় যান এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে নুর নাহার পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আলতাকে ঘর থেকে বের করে দিতে উদ্যত হন। এ সময় আলতাফ নুর নাহারকে ছুরিকাঘাত করে। চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে ফাতেমা এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মহিলা পরিষদ মা ও মেয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী ও কন্যারা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনসহ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। ঘরে বাইরে কোথাও নারী ও কন্যারা নিরাপদ নয়। ঘরের ভিতরে সবচেয়ে আপনজনদের দ্বারা নারী ও কন্যারা নির্মম সহিংসতার শিকার হচ্ছে যা নারীদের স্বাভাবিক জীবন এবং চলমান অগ্রযাত্রায় কর্মজীবন, স্বাধীন চলাচল ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও নাজুক করে তুলেছে।

সংগঠনটি  নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে।